Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

বয়স্ক ভাতা বিতরণ কর্মসূচি

 

দেশের বয়োজ্যেষ্ঠ দুস্থ ও স্বল্প উপার্জনক্ষম অথবা উপার্জনে অক্ষম বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা বিধানে ও পরিবার ও সমাজে মর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে  ‘বয়স্কভাতা’ কর্মসূচি প্রবর্তন  করা হয়। প্রাথমিকভাবে দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাসহ ১০ জন দরিদ্র বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের আওতায় আনা হয়। পরবর্তীতে দেশের সকল পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশন এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত করা হয়।

 

বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার হিসেবে ২০২১ সালের মধ্যে বয়স্কভাতাভোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ক্ষমতা গ্রহণোত্তর ২০০৯-১০ অর্থ বছরে বয়স্কভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লক্ষ জন থেকে বৃদ্ধি করে ২২ লক্ষ ৫০ হাজার জনে এবং জনপ্রতি মাসিক ভাতার হার ২৫০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়।  ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫৭ লক্ষ ০১ হাজার বয়স্ক ব্যক্তিকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়। চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ৫৭ লক্ষ ০১ হাজার বয়স্ক ব্যক্তির জন্য এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৩৪৪৪.৫৪ কোটি টাকা। 

 

বর্তমানে বয়স্কভাতা কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা হলো; ২০১৩ সালে প্রণীত বাস্তবায়ন নীতিমালা সংশোধন করে যুগোপযোগীকরণ, অধিক সংখ্যক মহিলাকে ভাতা কার্যক্রমের আওতায় অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে মহিলাদের বয়স ৬৫ বছর থেকে কমিয়ে ৬২ বছর নির্ধারণ, উপকারভোগী নির্বাচনে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ এবং ডাটাবেইজ প্রণয়ন।

 

২০১৭-২০১৮ অর্থবছর থেকে বয়স্ক ভাতা কর্মসূচির আংশিক এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। বর্তমানে সকল উপকারভোগীকে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার নগদ ও বিকাশ এবং এজেন্ট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে জিটুপি পদ্ধতিতে (government to person) ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। 

 

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

(১) বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান;

(২) পরিবার ও সমাজে তাঁদের মর্যাদা বৃদ্ধি;

(৩) আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে তাঁদের মনোবল জোরদারকরণ;

(৪) চিকিৎসা ও পুষ্টি সরবরাহ বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

 

প্রার্থী নির্বাচনের মানদন্ড:

(ক) নাগরিকত্ব: প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

(খ) বয়স: সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার প্রদান করতে হবে।

(গ) স্বাস্থ্যগত অবস্থা: যিনি শারীরিকভাবে অক্ষম অর্থাৎ সম্পূর্ণরূপে কর্মক্ষমতাহীন তাঁকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। 

(ঘ) আর্থিক অবস্থার ক্ষেত্রে: নিঃস্ব, উদ্বাস্তু ও ভূমিহীনকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(ঙ) সামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে: বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা, বিপত্নীক, নিঃসন্তান, পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিদেরকে ক্রমানুসারে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(চ) ভূমিহীন ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এক্ষেত্রে বসতবাড়ী ব্যতীত কোনো ব্যক্তির জমির পরিমাণ ০.৫ একর বা তার কম হলে তিনি ভূমিহীন বলে গণ্য হবেন।

 

ভাতা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলী

(১) সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে;

(২) জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচিতি নম্বর থাকতে হবে;

(৩) পুরুষের ক্ষেত্রে বয়স সর্বনিম্ন ৬৫ বছর এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬২ বছর  হতে হবে;

(৪) বাছাই কমিটি কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে।

 

বিঃ দ্রঃ বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদ, এসএসসি/সমমান পরীক্ষার সনদপত্র বিবেচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোন বিতর্ক দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কমিটির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।

 

ভাতা প্রাপ্তির অযোগ্যতা

(১) সরকারি কর্মচারী পেনশনভোগী হলে;

(২) দুঃস্থ মহিলা হিসেবে ভিজিডি কার্ডধারী হলে;

(৩) অন্য কোনোভাবে নিয়মিত সরকারী অনুদান/ভাতা প্রাপ্ত হলে;

(৪) কোনো বেসরকারি সংস্থা/সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হতে নিয়মিতভাবে আর্থিক অনুদান/ভাতা প্রাপ্ত হলে।

 

২০২১-২২ অর্থ বছরে ইউনিয়নভিত্তিক প্রতিবেদন

ক্রমিক নং ইউনিয়ন উপকারভোগীদের সংখ্যা বার্ষিক বরাদ্দের পরিমাণ
০১ রাজিবপুর ১৯৮৫ ১১,৯১০,০০০
০২ মোহনগঞ্জ ১১৭৮ ৭,০৬৮,০০০
০৩ কোদালকাটি ৮৯৪ ৫,৩৬৪,০০০
সর্বমোট ৪০৫৭ ২৪,৩৪২,০০০